কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে হেরে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
নির্ধারিত আর অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে চিলি। টাইব্রেকারে নিজেদের প্রথম শটেই গোল করতে পারেননি বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ড মেসি। ম্যাচ শেষে তিনি অবসরের কথা জানান।
“এটা কঠিন, এখন বিশ্লেষণের সময় নয়। ড্রেসিং রুমে আমার মনে হলো, জাতীয় দলে আমার খেলা শেষ। এটা আমার জন্য না। চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা কষ্টের।”
“আমি আর্জেন্টিনার সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হতে জোর চেষ্টা করেছি। এটা হয়নি। আমি এটা করতে পারিনি।”
“এটা অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত; কিন্তু এটা নেওয়া হয়ে গেছে। আমি আর চেষ্টা করবো না। ফিরে যাওয়া আর হবে না।”
২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে হারের পর গত বছরের কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হার। টানা তৃতীয় ফাইনালেও ফল ওই একই। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ২০০৭ সালে ব্রাজিলের কাছে কোপা আমেরিকার ফাইনালেও পরাজিত দলে ছিলেন মেসি।
“চারটা ফাইনাল হলো, এটা আমার জন্য না। আমরা চেষ্টা করেছি, আমি চেষ্টা করেছি।”
“আমি এখন অনেক ক্লান্ত। এখন আমি শুধু এটাই অনুভব করছি। আবার এটা ঘটলো (ফাইনালে হার) দেখে আমি খুবই ব্যথিত।”
সেই ১৯৯৩ সালে এই কোপা আমেরিকাতেই শেষ বার বড় কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এর পর থেকে কেবল অপেক্ষায় দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দেশকে শিরোপা জেতানোর চাপও বাড়ছিল অধিনায়কের উপর। পদত্যাগের ঘোষণা না দিলে হয়তো টাইব্রেকারে গোল না পাওয়ার প্রবল সমালোচনা থেকে রেহাই পেতেন না মেসি।
“আমি আমার পেনাল্টি মিস করেছি। ওটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
“আমি মনে করি, এটা সবার জন্যই উত্তম। প্রথমত আমার জন্য, তারপর সবার জন্য। আমি মনে করি, অনেক মানুষ যারা সন্তুষ্ট নয় এটাই চেয়েছিল। আমরাও ফাইনালে পৌঁছে জিততে না পারায় সন্তুষ্ট নই।”
২০০৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর ২৯ বছর বয়সী মেসি ১১২টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। সেমি-ফাইনালে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে যুক্তরাষ্ট্রের জালে বল পাঠিয়ে গাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ভেঙে করেছেন দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫টি গোল। কিন্তু বার্সেলোনার হয়ে ২৮টি শিরোপা জেতা মেসিকে হতাশায় ডুবিয়েছে জাতীয় দলের সাফল্য না পাওয়াটা।
ফুটবল বিশ্লেষকদের অনেকেই বলেছিলেন, কোপা আমেরিকার বিশেষ এই আসরই মেসির জন্য শেষ সুযোগ। এই চিলির বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ চোটের জন্য খেলতে পারেননি; পরের ম্যাচগুলোতে দুর্দান্ত খেলে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে উঠিয়ে শিরোপা-খরা ঘোচানোর শেষ ধাপে পৌঁছেছিলেনও মেসি। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় তারও দায় আছে।
নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালের ফাইনালে তেমন জ্বলে উঠতে পারেনি পাঁচ বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট আর অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে চিলির আর্তুরো ভিদালের প্রথম শটই রোমেরো ঠেকিয়ে দেওয়ায় মনে হচ্ছিল গত আসরের ফাইনালের উল্টো ফলটাই হতে যাচ্ছে। কিন্তু দলের প্রথম শটটি নিতে এসে মেসি দেখালেন অমার্জনীয় ব্যর্থতা। বার্সেলোনা সতীর্থ ক্লাওদিও ব্রাভোকে কোনো কষ্ট দেননি, উড়িয়ে মারেন ক্রসবারের উপর দিয়ে। পরে চিলি গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন লুকাস বিগলিয়ার শট। আর্জেন্টিনাকে হারতে হয় আরেকটি ফাইনাল। ব্যর্থতার দায় নিয়েই তাই এল অবসরের ঘোষণাটা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Popular Posts
-
Dhaka Modeling Girl is not a good profession like another one. Try to avoid the beauty & Sexy girl of Dhaka City.
-
বিশ্বে প্রভাববিস্তারকারী যে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভারতীয় রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-'র' নামের গো...
-
9 burnt in Magura fire-bombing Saturday’s arson victims have been sent to Dhaka Medical College and Hospital. Eight of them h...
No comments:
Post a Comment