Friday, July 24, 2015

রাজধানী ও রাজনীতিবিহীন দেশ নাউরু (Nauru)

অদ্ভুত এক দেশ। যে দেশে রাজধানী নেই। নেই কোনো রাজনৈতিক দল। দক্ষিন প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র। এক দিকে চীন অন্য দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন কয়েকটি দ্বীপ। জাপান, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের অবস্থানও অনেক দূরে। তবে এ দেশগুলোর প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে ছোট দেশ নাউরুতে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ। মাইক্রোনেশিয়া আর পলিনেশিয়ার জাতিগোত্রের মানুষ বসতি স্থাপন করেছে মাত্র আট বর্গমাইলের এ দেশটিতে। কোনো ঘোষিত রাজধানী নেই।




১৪টি বিভাগে ভাগ করে শাসনকাজ পরিচালনা করা হয়। বিচার আর প্রশাসনিক ইউনিটগুলো মূলত বিভাগীয় কেন্দ্রগুলোতে বিন্যস্ত করে দেয়া হয়েছে। দেশটিতে নেই কোনো আনুষ্ঠানিক রাজনৈতক দল। এখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা কায়েম রয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান। ১৮ সদস্যের সংসদে প্রতি তিন বছর অন্তর নির্বাচন হয়। ভোটাভুটির মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের মধ্যে একজনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। রাজনৈতিক দল না থাকায় যে ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা, তা হয় না। এর প্রধান কারণ গোষ্ঠী আর আত্মীয়তা রাজনৈতিক অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে।



সরকার গঠনে মূল ভূমিকা পালন করে আত্মীয়তা। ১৩ হাজার জনসংখ্যার দেশটিতে প্রভাবশালী মানুষগুলো একে অন্যের পরিচিত। নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়। এ কারণে রাজনৈতিক দল গঠন ও বিকাশ হয়নি। তবে রাজনৈতিক দল যে একদম নেই এ কথা বলা যাবে না। যেমন সর্বশেষ নির্বাচনে ১৮টি আসনের সংসদের তিনজন রাজনৈতিক দল থেকে নির্বাচিত হন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, নাউরু ফার্স্ট ও সেন্টার পার্টি নামের তিনটি রাজনৈতিক দলের নাম পাওয়া যায়। তবে এগুলোর গঠন ও কার্যক্রম প্রচলিত রাজনৈতিক দলের মতো নয়। তাই এগুলোকে সেই অর্থে রাজনৈতিক দল বলা যাবে না।



কমপক্ষে ৩ হাজার বছর আগে মাইক্রোনেশিয়ান আর পলিনেশিয়ানরা নাউরুতে বসতি স্থাপন করে। তারা ১২টি গোষ্ঠীতে বিভক্ত। এ জন্য দেশটির পতাকায় ১২টি তারকাখচিত। ব্রিটিশ ক্যাপটেন ও তিমি শিকারি জন ফেয়ার্ন প্রথম পশ্চিমা নাগরিক ১৭৯৮ সালে দেশটিতে আসেন। ১৮৩০-এর দশকে নাউরুর সাথে পশ্চিমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এ সময় থেকে ইউরোপীয়রা নাউরুতে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে। উনিশ শতকে জার্মানরা নাউরুতে উপনিবেশ স্থাপন করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এর দখল চলে যায় যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর যুক্তরজ্যের কাছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দেশটি দখল করে নেয় জাপান। যুদ্ধের সময় নাউরুকে বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার করে তারা।


১৯৪৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে জাপানি সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করে। এরপর একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে দেশটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড আর যুক্তরাজ্যের কাছে হস্তান্তরিত হয়। ১৯৬৬ সালের জানুয়ারিতে স্বায়ত্তশাসন পায় নাউরু। ১৯৬৮ সালে দেশটি পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পায়।
১৯০০ সালে দেশটিতে ফসফেটের খনি আবিষ্কার হয়।
জার্মানদের একাধিপত্যের কারণে প্রাপ্ত লাভের অংশ পেত না স্থানীয়রা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত এর দ্বারা এককভাবে লাভবান হয় জার্মানরা। পরে ফসফেটের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ব্রিটিশ ফসফেট কমিশনের কাছে। ১৯৭০ সালে ফসফেট সম্পদ নাউরুদের দখলে আসে। তত দিনে ব্রিটিশরা মূল সম্পদকে শুষে নিয়েছে। এর একটা অংশের মালিকানার কারণে নাউরুর অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত উন্নত হয়। কিন্তু দেশটির কাঠামোগত কোনো উন্নতি হয়নি। নগদ টাকা দিয়ে তারা ভোগবিলাসে মত্ত ছিল।
চতুর ব্রিটিশরা দেশটির অবকাঠামো গড়ে তোলার পরিবর্তে তাদের ভোগবিলাসী করে তোলে। ফলে ফসফেট রফতানি যেই বন্ধ হলো দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়ল। শুধু তা-ই নয়, অপরিকল্পিত ফসফেট উত্তোলনের ফলে দেশটিতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেখা দেয় অস্থিরতা। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে দেশে ১৭টি সরকারের পতন হয়। চলমান এ অস্থিরতা এখনো দেশটির উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। এখন নাউরু পুরোপুরি বিদেশী সাহায্যনির্ভর। এর বড় একটা অংশ আসে অস্ট্রেলিয়া থেকে। এ সাহায্যের বিনিময়ে তারা নাউরুকে ডাম্পিং জোন হিসেবে ব্যবহার করছে। এক চুক্তির মাধ্যমে নাউরু অস্ট্রেলিয়া গমনেচ্ছু অনুন্নত বিশ্বের সব নাগরিককে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলো থেকে অসংখ্য মানুষ অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া এসব মানুষকে সীমান্ত থেকে ধরে নাউরুতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। নাউরুর বাজেট তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ায়। নাউরুর আলাদা কোনো মুদ্রা নেই। তারা অস্ট্রেলিয়ান ডলার ব্যবহার করেন।

নাউরু জাতিসঙ্ঘ সদস্য। মজার বিষয় হলো ছোট এ দেশটি দারুণভাবে জাতিসফঙ্ঘর সদস্যপদের সুযোগটি ব্যবহার করছে। তারা চীন ও তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক রক্ষার মাধ্যমে দেশ দু’টি থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা আদায় করছে। ২০০২ সালে তারা চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এর মাধ্যমে তারা দেশটি থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলারের অর্থসাহায্য পায়। চুক্তির দুই দিন পর তাইওয়ানের সাথে নাউরুর সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটে। কয়েক দিন পর দেশ দু’টির মধ্যে আবারো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। মূলত চীন ও তাইওয়ান ছোট এ দেশটির জাতিসঙ্ঘের সদস্যপদপ্রাপ্তির সুযোগকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের সমর্থনে কাজে লাগাতে চায়। ইতোমধ্যে নাউরু এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে।

নাউরু নিরক্ষরেখার ২৬ মাইল দক্ষিণে ডিম্বাকৃতির ছোট দ্বীপ। এর আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র ১০ ভাগের ১ ভাগ। চার দিকে রয়েছে প্রবাল প্রাচীর। ভূমির গড়ন পাহাড়ি। উঁচনিচু এবড়ো-খেবড়ো। চার দিকে বালুময় সমুদ্র সৈকত। দ্বীপবাসীদের সুবিধার জন্য ১৬টি কৃত্রিম খাল খনন করা হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে সুপেয় পানি সংরক্ষণ সুবিধা সীমিত। একটি মাত্র প্লান্ট রয়েছে সমুদ্রের পানি লবণমুক্ত করার জন্য। নাউরুর জলবায়ু উষ্ণ ও অতিমাত্রায় আর্দ্র। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ওঠানামা করে। এর ধরন একেক বছর একেক রকম। দিনের বেলায় তাপমাত্রা ২৬ থেকে ৩৫ ডিগ্রিতে ওঠানামা করে। রাতে তা ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি হয়। সমুদ্রের পানির উচ্চতা ওঠানামার কারণে দ্বীপবাসীর জীবন ও স্থাপনা সব সময় শঙ্কার মধ্যে রয়েছে।
Source: Nayadiganta

Thursday, July 9, 2015

কিরণমালায় আসক্ত বগুড়ার তরুণীরা!

ভারতের স্টার জলসা চ্যানেলের মেগা সিরিয়াল  কিরণমালাখ্যাত এবারের ঈদ পোশাক কিরণমালায় আসক্ত বগুড়ার কিশোরী-তরুণীরা।

দেশের অন্যান্য এলাকার মতো কিরণমালা সংক্রমণে কাবু অল্পবয়সী তরুণীদের ঈদে প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এ পোশাক।



বিগত বছরগুলোর আকর্ষণ ঝিলিক, মাসাককলি, পাখি, আনারকলি, খুশি, জিপসি নানা নামের পোশাককে পেছনে ফেলে এই ঈদে সব বয়সী মেয়েদের প্রথম পছন্দ রকমারি কিরণমালা। 

এমনকি, এ পোশাক চেয়ে না পেয়ে জীবন দিতেও পিছপা হয়নি এক কিশোরী। অন্ধ গরিব বাবা অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সাবিনাকে কিরণমালা কিনে দিতে না পারায় অভিমানে গত ৫ জুলাই আত্মহত্যা করে বসে মেয়েটি। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামে ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। 


ঈদের বাজার ঘুরে দেখা গেলো, এবার ঈদকে সামনে রেখে বগুড়া শহরের বিপণি বিতানগুলোতে ব্যবসায়ীরা অন্যান্য পোশাকের পাশাপাশি তরুণীদের আকর্ষণ বুঝে কিরণমালার ব্যাপক আমদানি করেছেন। এসব পোশাক প্রতিটি শোরুমে বিভিন্ন ডলকে পরিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।

মূলত এই কিরণমালায় ভরে করেই রমজানের দিন দশের বাকি থাকতেই জমে উঠেছে বগুড়ার ঈদ মার্কেট। শহরের নিউমার্কেট, শেখ শরীফ উদ্দিন সুপার মার্কেট, আল আমিন শপিং কমপ্লেক্স, টিএমএসএস মার্কেট, শহীদ আব্দুল জব্বার সড়ক, জলেশ্বরীতলা, কালীবাড়ী মোড় কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা বিভিন্ন শপিংমল ও বুটিক হাউসগুলোতে ক্রেতাদের বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এসব মার্কেটের একাধিক পোশাক ব্যবসায়ী জানালেন, এবারের ঈদে তরুণীসহ ছোট-বড় সব বয়সী মেয়েদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে কিরণমালা। তবে পাকিস্তানি ও ভারতীয় জর্জেটের থ্রি-পিসের চাহিদাও বেশ। 

তবে মেয়েদের এ পোশাকগুলো দাম বেশ চড়া। প্রতিটি থ্রি-পিসের দাম হাঁকা হচ্ছে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বেনারসি, জামদানি, কাতান, সিল্ক, জর্জেটসহ রং বেরংয়ের বাহারি শাড়ি ১ থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। 

এদিকে, বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের ঈদে প্রতিটি পোশাকের দামই অনেক বেশি। তাই সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকায় অনেকেই তার পছন্দের পোশাকটি কিনতে পারছেন না। 

বুধবার (০৮ জুলাই) শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতান ঘুরে জানা গেলো, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্মের কথা।

ঈদের পোশাক কিনতে আসা অনার্স পড়ুয়া কলেজছাত্রী নূশরাত জাহান বাংলানিউজকে জানান, কিরণমালার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী পুঁতি, চুমকি ও পাথরসহ রং বেরংয়ের ডিজাইন করা পোশাকের নাম দিয়েছে কিরণমালা। আর না বুঝেই সেসব পোশাক কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তরুণীরা। 

নিউ মার্কেটের পোশাক ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল জানান, এবারের ঈদে তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে থাকা কিরণমালা ভারত থেকেই আমাদানি করা হয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অন্য পোশাককেও কিরণমালা বলে চালাচ্ছে বলেও তিনি স্বীকার করেন। কিন্তু সেটা ক্রেতার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।

ঈশিতা আকতার, রোমানা ইয়াসমিন, সুমনা, নাসিমা আকতার জুঁই, নাসরিনসহ একাধিক তরুণী জানান, ঈদে পোশাকের মধ্যে তাদের প্রথম পছন্দ কিরণমালা। কারণ কিরণমালা নামটি শুনতে শুনতে তারা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন। তাই এবারের ঈদে অন্য পোশাকের পাশাপাশি অন্তত কিরণমালা নামে একটি পোশাক কিনতেই হবে বলে তারা জানান। 



 Source : Banglanews24.com

Wednesday, July 8, 2015

ফেলানীর বাবা মানবাধিকার সংস্থার দ্বারস্থ



আবেদন পত্রে নুর ইসলাম বলেন, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নম্বর ৯৪৭ এর কাছে বিএসএফের গুলিতে ফেলানী খাতুন নিহত হয়।
এ ঘটনার পর বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে বিচার শুরু করে ভারত। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অমিয় ঘোষকে নির্দোষ রায় দেয় বিএসএফ এর আদালত।
সেই রায় যথার্থ মনে না হওয়ায় বিএসএফ মহাপরিচালক রায় পুরর্বিবেচনার আদেশ দেন।
এরপর পুনির্বিচারে ২০১৫ সালের ২ জুলাই ভারতের বিশেষ আদালত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে রায় দেয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, “দুই দফা সাক্ষ্য দেওয়ার পরও মেয়ের হত্যার ন্যায্যবিচার পাইনি, তাই এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছি।
“অমিয় ঘোষের ফাঁসি হওয়া উচিৎ ছিল। তা না করে ভারতের বিএসএফ বিচারের নামে তামাশা করেছে। তাই ভারত সরকারের কাছে সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় এ আবেদন জানাচ্ছি।”

Friday, July 3, 2015

রকেট গতিতে বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা

দেশে রকেট গতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ (মে-২০১৫) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে শুধু এপ্রিল মাসের চেয়ে জুন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর বেড়েছে প্রায় ১৮ লাখ। এর মধ্যে শুধু মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যায় রয়েছে ১৭ লাখ ৫০ হাজার। বিটিআরসির প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, মে মাস পর্যন্ত ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৭৪ লাখ ২১ হাজার, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৭৭ হাজার। অর্থাৎ আগের মাসের তুলনায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৪৪ হাজার। তবে ওয়াইম্যাক্স ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার। আর আইএসপি ও পিএসটিএনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৬১ হাজারে।


 বিটিআরসি গত মঙ্গলবার মে মাস পর্যন্ত মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহকদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিটিআরসি প্রতি মাসে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধির প্রবণতাকে এ খাতের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে মোবাইল কোম্পানিগুলো। সামনের দিনগুলোতে এর হারও বাড়বে বলে তাদের প্রত্যাশা। ইন্টারনেটে সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা হিসেব করার ক্ষেত্রে যেসব গ্রাহক সর্বশেষ ৯০ দিন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাদেরই বিবেচনায় নেওয়া হয়।

Popular Posts